মাসুদ আলম: রাজধানীর গুলশানে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মোহাম্মদ রাজু (৩৫) নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার পর তিনি ১২তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। রোববার দিবাগত রাত তিনটায় গুলশানের জেড. এইচ. শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মারা যান আনোয়ার হোসেন (৩০)।  তারা দুইজনই  ওই ভবনে ১২ তলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় কাজ করতেন। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফাহিমের স্ত্রী শামা রহমান সিনহা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার বিকেলে অন্য দুইজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সোমবার সকালেও ভবনটিতে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস।  সেখানে খোঁজ করে আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ভবনটির জমির মালিক মো. মোশাররফ হোসেন ও জাকির হোসেন নামে দুই ব্যক্তি। মোশাররফ ফেনী-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। আর জাকির বে-স্টেট লিমিটেডের মালিক। 

আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। 

সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফোনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ১৮ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শামা রহমানের বিষয়ে কনসার্ন বেশি। ৪৮ ঘণ্টা পর তার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। এছাড়া, বাকি দুইজনের শারীরিক অবস্থা ভালো।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই ভবনের চার তলায় লিফটের পাশে হার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি একটি ইলেকট্রিক বোর্ড ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।  রোববার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১০৪ নং সড়কের ২/এ  বাসায় আগুন লাগে। ভবন থেকে ৪ জন লাফিয়ে পড়েন। ভবনে ২৬ ফ্ল্যাটে ২৩ পরিবার বসবাস করতেন। ভবনটি থেকে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৭ জন ও একজন শিশু। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব